বাউফলে বিএনপির পদ পেতে অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ

বাউফলে বিএনপির পদ পেতে অর্থ বাণিজ্যের  অভিযোগ
মোঃ দেলোয়ার হোসেন, বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা বিএনপির আহবায়ক শাহজাদা মিয়ার বিরুদ্ধে দলীয় পদ পেতে অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শাহজাদা মিয়া মুঠোফোনে এক পদ প্রত্যাশী নেতার কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবী করেছেন এমন একটি অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। গত বুধবার রাতে ওই অডিও ক্লিপ সামাজিক যোযাযোগের মাধ্যমে ফেজবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে এলাকায় তোলপাড়। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বর্তমানে বাউফল উপজেলা বিএনপির ইউনিয়ন পর্যায়ের কমিটি অনুমোদনের প্রক্রিয়া চলছে। কয়েকদিন আগে দাসপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব পদপ্রার্থী সাইফুল ফিরোজের কাছে মুঠোফোনে ওই পদ পেতে শাহজাদা মিয়া ৫০ হাজার টাকা দাবী করেন। এ সময় বিকাশ অ্যাকাউন্টে খরচসহ দ্রæত টাকা পাঠানোর জন্য তিনি সাইফুল ফিরোজকে নির্দেশ করছেন। সাইফুল ফিরোজ ঢাকার ব্যবসায়ী। কমিটি অনুমোদনের জন্য দ্রæত ঢাকা যেতে হবে বলেও কথোপকথনে শাহজাদা মিয়া উল্লেখ করেন। তখন সাইফুল ফিরোজ আরও কয়েকজন নেতাকে দলীয় পদ দিতে শাহজাদা মিয়াকে টাকা অফার করেন। ২ মিনিট ২৭ সেকেন্ডের অডিও ক্লিপে শেষ পর্যন্ত টাকা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিতে ৫ মিনিট সময় চেয়ে সাইফুল ফিরোজ সংযোগটি কেটে দেন। বুধবার রাতে এই অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এরপরই বিষয়টি ভাইরাল হয়। উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি, উপজেলা বিএনপির যুব বিষয়ক সম্পাদক ও বর্তমান আহŸায়ক কমিটির সদস্য মোঃ জসিম উদ্দিন বলেন,যাঁরা ঢাকায় থাকেন তাঁদেরকে ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটিতে না রাখার কেন্দ্রƒয় নেতাদের নির্দেশ রয়েছে। অথচ বাউফল উপজেলার অধিকাংশ ইউনিয়নে কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে সেই নির্দেশ মানা হয়নি। কমিটি গঠনের দায়িত্বে থাকা নেতারা টাকার বিনিময়ে বিতর্কিত ও ঢাকায় ব্যবসা করেন এমন ব্যক্তিদের অধিকাংশ ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বানাচ্ছেন। যা এখন সবাই জানে। দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যেও পদ বাণিজ্য নিয়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক শাহিন রেজা বলেন,বর্তমান আহবায়ক কমিটি যে বাণিজ্য করবে সেটা আমরা আগে থেকেই বলে আসছি। এই কমিটি দিয়ে বিএনপির ভবিষ্যত অন্ধকার। বিষয়টি জানার জন্য সাইফুল ফিরোজের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। উপজেলা বিএনপির আহবায়ক শাহজাদা মিয়া সাংবাদিকদের বলেন,সাইফুল ফিরোজের সাথে তার একবার দেখা হয়েছে আর কোন দেখা হয়নি। অডিও ক্লিপের ভয়েজটি আমার না। কেউ সুপার এডিট করে এটি ভাইরাল করেছেন। এ বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার বলেন,‘বিষয়টি আমি শুনেছি। তদন্ত করা হবে। তদন্তে সত্যতা মিললে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’